Kachua

কচুয়া উপজেলা বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।

” অবস্থান “
এই উপজেলাটির উত্তরে দাউদকান্দি ও চান্দিনা উপজেলা, দক্ষিণে হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলা, পূর্বে বরুড়া ও চান্দিনা উপজেলা, পশ্চিমে মতলব ও দাউদকান্দি উপজেলা অবস্থিত।

” ইতিহাস “
ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর আমলে কচুয়া থানা দাউদকান্দি থানার অর্ন্তভূক্ত ছিল। মহারানী ভিক্টোরিয়া রাজত্বকালে কচুয়া থানা ছিল হাজীগঞ্জের অন্তভূর্ক্ত। ১৯১৮ সনের ২৫জানুয়ারী হাজীগঞ্জ হতে পৃথক হয়ে কচুয়া থানা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বর্তমানে কচুয়া বাজার এক সময়ে ওলিয়ে কামেল হযরত শাহ নেয়ামত শাহ এর বাজার নামে পরিচিত ছিল। কচুয়া বাজারের তারিনীর দিঘীর পাড়ে ছিল হযরত শাহ নেয়ামত শাহ (রাঃ) এর আস্তানা। তারিনীর দির্ঘীর পাড়ে ওলি আল্লার নিকট ছুটে আসত দূরে দূরান্তের মানুষ। এতে করে গড়ে ওঠে তারিনীর দির্ঘীর পাড় এলাকাকে ঘিরে বাজার। এই বাজারের নাম করন হয় ওলিয়া কামেলের নাম অনুসারে হযরত শাহ নেয়ামত শাহ এর বাজার। পরবর্তীতে এ নাম লোক মূখে পরিবর্তিত হয়ে কচুয়া থানার কচুয়া নামানুসারে কচুয়া বাজার নামে পরিচিতি লাভ করে।

কচুয়া থানার কচুয়া নাম করনের সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও জনশ্রুতি হিসাবে দুটি তথ্য পাওয়া যায়। প্রথমটি হচ্ছে সেনিটিক ভাষায় উপশহরকে কাচওয়া বলে। এ কাচওয়া শব্দ কালক্রমে লোকমূখে লোকান্তরিত হয়ে কচুয়া শব্দের উৎপত্তি হয়েছে।

অন্যটি হচ্ছে- ১৯০৫ সালে হাজীগঞ্জ থানাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ২টি থানায় রুপান্তরিত করার জন্য সীমানা নির্নয়ের জন্য জরীপ কাজ চালানো হয়। একজন পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ জরিপ কাজ পরিচালিত হয়। জরিপ কাজ শুরু হয় দাউদকান্দি থানায় দক্ষিণ সীমানা থেকে অর্থাৎ কচুয়া থানা উত্তর প্রান্ত থেকে। জরিপ কাজ চলার এক পর্যায়ে কাজে নিয়োজিত পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্যান্য লোকজন বর্তমানে কচুয়া বাজার সংলগ্ন উল্টর পার্শ্বের গ্রামের দক্ষিণাংশে এসে কয়েকটি তালগাছের সন্ধান পেয়ে তালগাছ এলাকার উঁচু স্থানে তাবু খাটিয়ে কয়েক দিন অবস্থান করেন। । এ গ্রামের জনৈক মৌলভী আলী আকমত পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেন আপনাদের জরীপ কাজ শেষ হয়েছে কি? উত্তরে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন কুচ হুয়া। উর্দুতে কুচ মানে কিছু এবং হুয়া মানে হয়েছে। অর্থাৎ কিছু অংশ হয়েছে। এ কুচ- হুয়া শব্দ হতে কচুয়া নামের উৎপত্তি হয়।

” ইউনিয়ন সমূহ “
১নং সাচার ইউনিয়ন পরিষদ
২নং পাথৈর ইউনিয়ন পরিষদ
৩নং বিতারা ইউনিয়ন পরিষদ
৪নং সহদেবপুর (পূর্ব) ইউনিয়ন পরিষদ
৫নং সহদেবপুর (পশ্চিম) ইউনিয়ন পরিষদ
৬নং কচুয়া (উত্তর) ইউনিয়ন পরিষদ(তেতাইয়া)
৭নং কচুয়া (দক্ষিণ) ইউনিয়ন পরিষদ
৮নং কাদলা ইউনিয়ন পরিষদ
৯নং কড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদ
১০নং গোহট (উত্তর) ইউনিয়ন পরিষদ
১১নং গোহট(দক্ষিণ) ইউনিয়ন পরিষদ
১২নং আশ্রাফপুর ইউনিয়ন পরিষদ

” শিক্ষা “
বর্তমানে একটি সরকারি কলেজ কচুয়াতে, ১ টি সরকারি পলিটেকনিক ইনিস্টিউট: চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট । শিক্ষা বিস্তারে রয়েছে ডিগ্রি কলেজ ৩টি, কামিল মাদ্রাসা ১টি, ফাজিল মাদ্রাসা ৬টি, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রায় ৩০টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রায় ১৬৬টি এবং বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে প্রায় একশতটি। উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান গুলো হল : কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, আল ফাতেহা মাদ্রাসা, সাচার উচ্চ বিদ্যালয়, তেতাইয়া আদর্শ স্কুল।

” কৃতী ব্যক্তিত্ব “
ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর – সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী;
মুনতাসির মামুন – শিক্ষাবিদ;
গোলাম রহমান – সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
আ ন ম এহসানুল হক মিলন – সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী;
মরহুম রফিকুল ইসলাম রনি – সাবেক সংসদ সদস্য;
নুরুল আজাদ – সমাজসেবক
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী এ কে এম আব্দুল মোতালেব-গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী
অ্যাডঃ আবদুল আউয়াল-সাবেক এমপি, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের অগ্রসেনানী, ভাষা সৈনিক
ড. হেলাল উদ্দিন খান আরেফিন-নৃবিজ্ঞানী
মিসেস নিলুফা বেগম – কলামিস্ট
মীর ইকবাল হোসেন – মনোয়ারা হাসপাতল, আরিবাবাদ কো-অপারেটিভ ও ইকবাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
অধ্যাপক ডাঃ একেএম শহীদুল ইসলাম -জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি

” পর্যটন ও ঐতিহ্য “
১) পালগিরি মসজিদ (কচুয়া)
এখানে একটি এক গম্বুজ মসজিদ রয়েছে। মসজিদটি পাঁচশ’ বছরের প্রাচীন। এখানে রয়েছে বিরাট আকারের অসম্পূর্ণ দিঘি। দিঘির পাড়ে থানা বিবি ও দুলাল রাজার কবর, পাকাঘাট। মসজিদের অদূরে রয়েছে দু’টি প্রাচীন পাকা কবর। অনুমান করা হয় এটি নির্মাতার কবরই হবে। দুলাল রাজার দিঘিটি ১৯ একর। মসজিদের পূর্ব পাশে একটি প্রাচীন নৌপথ ছিলো। ক্যাঃ আঃ রব খন্দকারের দাদা জাহনী খন্দকার ১৮০২ সালে মসজিদটি ঝোঁপের মধ্যে দেখতে পেয়ে পুনঃসংস্কার করেন। ক্যাঃ আঃ রব ৯৮ সালে ৮১ বছর বয়সে মারা যান। দুলাল রাজা ও থানা বিবি সম্পর্কে মামা শ্বশুর ও ভাগ্নে বউ ছিলেন। প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও তাদের বিয়ে হয়নি বলে জনশ্রুতি আছে।

২) দারাশাহী তুলপাই মসজিদ (কচুয়া):
কচুয়া উপজেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দারাশাহী তুলপাই গ্রামে রয়েছে নাগরাজ কন্যা রামেশ্বরী দেবী ও হযরত দারাশাহের অমর প্রেমের স্মৃতিতে নির্মিত তিন গম্বুজ মসজিদ, শেখ দারা রামেশ্বরীর ত্রিতল ভগ্নপ্রাসাদ। ষোড়শ’ শতাব্দীতে সুদূর আরব দেশীয় এক যুবক প্রশাসক দিল্লীর সম্রাট কর্তৃক নিয়োজিত হয়ে বর্তমান কচুয়ার তুলপাই অঞ্চলে আসেন। তিনি নাগরাজ কন্যা রামেশ্বরী দেবীর প্রেমে পড়েন এবং এক যুদ্ধের পর নাগরাজাকে পরাজিত করে রামেশ্বরী দেবীকে বিয়ে করেন। বর্তমানে দারাশাহী তুলপাই গ্রামে তার মাজার রয়েছে। প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর মাহ্ফিল হয়। দারাশাহের স্মৃতিতে তার মৃত্যুর দু’শ বছর পর নির্মিত মসজিদের শিলালিপিতে আছে, ‘‘মহান আল্লাহর নামে শুরু করিতেছি। আল্লাহ্ এক। মোহাম্মদ তার রাসূল। নুরুজ্জামান দ্বারা মসজিদটি ১২০২ হিজরী সনে স্থাপিত।’’

৩)আশ্রাফপুর মসজিদ (কচুয়া)
আশ্রাফপুরের তিন গম্বুজ মসজিদ। যেখানে রয়েছে আরবদেশীয় বণিকদের কবর। এখানে রয়েছে নিমাই দিঘি। মসজিদটি বাংলার স্বাধীন সুলতানদের আমলে নির্মিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এখানে রয়েছে অনেকগুলো প্রাচীন পাকা কবর। জনশ্রুতি রয়েছে, এগুলো আরবীয় বণিকদের তৈরি।

৪) শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দিরশ্রী গঙ্গাগোবিন্দ সেন:
এই মন্দির ১২৭৭ বঙ্গাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয় লোকদের নিকট হতে জানা যায়, গঙ্গা গোবিন্দ সেন রথযাত্রা উপলক্ষে জগন্নাথ দেবকে দর্শন করার জন্যে ভারতের শ্রীক্ষেত্রে যান। অনেক চেষ্টা করার পরেও তিনি জগন্নাথ দেবকে দেখতে না পেয়ে মনের দুঃখে কান্নাকাটি করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েন এবং স্বপ্নে দেখেন ‘তুমি দুঃখ করিও না, আমি নিজেই তোমার আবাসস্থল সাচারে নিজ বাড়িতে আবির্ভূত হইব’। তখন গঙ্গা গোবিন্দ বাড়িতে আসেন এবং কয়েকদিন পর তার বাড়ির দিঘিতে অলৌকিকভাবে ভেসে আসা নিম কাঠ দেখতে পান, যা’ দ্বারা কচুয়ার বিখ্যাত সাচারের রথ এবং দেব-দেবী নির্মিত হয়।

৫)মনসামুড়া
এই মুড়া কচুয়া থানায় অবস্থিত। বর্তমানে উক্ত স্থানে ১৩টি বাঁশঝাড় আছে। উক্ত ঝাড়ের চারদিকে অনেক সাপের গর্ত আছে। জানা যায়, হিন্দুদের মনসা দেবীর সেখানে অবস্থান। হিন্দুরা প্রতি বছর চৈত্র মাসে এই মুড়ায় পূজা-অর্চনা করে। এই উপলক্ষে মেলা বসে। হিন্দুরা অনেক মানত করে এবং দুধ-কলা দিয়ে পূজা করে। শুধু তাই নয়, এই বাঁশ ঝাড়ের বাঁশ কেউ কাটে না।

৬)সাহার পাড়ের দিঘি
কচুয়া উপজেলার রহিমানগর বাজার হতে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে কচুয়া-কালিয়াপাড়া সড়কের পূর্ব পার্শ্বে এই দিঘি অবস্থিত। ৬১ একর আয়তন বিশিষ্ট এই দিঘির সুউচ্চ পাড় এবং পাড়ের ওপর সুবৃহৎ বৃক্ষরাজির চমৎকার দৃশ্য, যা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। জানা যায়, বহুকাল পূর্বে এই এলাকায় ছিলো কড়িয়া রাজা নামে এক প্রতাপশালী রাজা। তার আমলে কড়ির মুদ্রা প্রচলিত ছিলো। একদা কড়িয়া রাজা ব্যাপক আয়োজনভিত্তিক এক পূজা অনুষ্ঠান উপলক্ষে পানীয় জলের সঙ্কট নিরসনকল্পে এবং নিজের নামকে কালজয়ী রাখার মানসে কড়ির বিনিময়ে একটি দিঘি খনন করেন এবং দিঘির নাম কড়িয়া রাজার দিঘি নামকরণ করেন। তার ইচ্ছা পূরণার্থে তার মন্ত্রী সাহাকে এই দিঘি খনন করার নির্দেশ প্রদান করেন। মন্ত্রী সাহা নির্দেশ পেয়ে দিঘি খনন করান। দিঘি খনন কাজে অংশ নেয় বহু নর-নারী। যারা খনন কাজে অংশ নেয় তাদেরকে প্রতি খাঞ্চি মাটি কাটার বিনিময়ে এক খাঞ্চি করে কড়িমুদ্রা দেয়া হয়। দিঘি খনন শেষে মন্ত্রী সাহা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তার নামে দিঘির নাম প্রচার করেন। দিঘি নামকরণে মন্ত্রীর চাতুরিপনার খবর পেয়ে কড়িয়া রাজা ক্ষুব্ধ হন এবং তাকে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করেন। মন্ত্রীকে প্রাণদন্ড দেয়া হলেও এই দিঘির নাম মন্ত্রীর নামে অর্থাৎ সাহার পাড়ের দিঘিই লোকমুখে থেকে যায়।

৭)উজানী বখতিয়ার খাঁ মসজিদ
কচুয়া উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে উজানী গ্রাম। বর্তমানে এ গ্রামে আছে একটি বিখ্যাত মাদ্রাসা। মাদ্রাসার দক্ষিণ পাশে আছে একটি দিঘি। তার পশ্চিম পাড়ে আছে এক গম্বুজ বিশিষ্ট একটি সুদৃশ্য মসজিদ। এটি বক্তার খাঁ শাহী মসজিদ নামে খ্যাত। এক সময় উজানী গ্রামটি বনজঙ্গলে আচ্ছাদিত ছিলো। ক্বারী ইব্রাহিম সাহেব বন-জঙ্গল পরিষ্কার করে এখানে বসবাস করতে শুরু করেন। তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত কামেল পুরুষ। তিনি এ মসজিদটিকে ব্যবহার্য করে তোলেন। মসজিদে প্রাপ্ত একটি শিলালিপিতে আছে, ‘‘পরম দয়ালু আল্লাহ্তায়ালার নামে আরম্ভ করিতেছি। আল্লাহ্ এক, তাহার কোনো শরীক নাই। মোহাম্মদ তাহার রাসূল। বাদশাহ বাহাদুর শাহ্ গাজীর শাসনামলে খাদেম আবুল হোসেন খাঁর পুত্র ইলিয়াস খাঁর পৌত্র’’।উল্লেখ্য যে, এই উজানী গ্রামেই আছে হযরত নেয়ামত শাহের দরগাহ। যিনি হযরত শাহজালাল (রঃ)-এর একজন সঙ্গী ছিলেন। উজানী গ্রামে একজন বিখ্যাত ফৌজদার ছিলেন। তার নাম ছিলো বখতিয়ার খাঁ। তিনি মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। নির্মাণ সাল ১৭৭২। উজানী একটি প্রাচীন গ্রাম। এ গ্রামের নাম পাওয়া যায় মধ্যযুগের মনসামঙ্গল কাব্যে ‘উজানী নগর’ হিসেবে। শোনা যায়, বেহুলা লখিন্দরের লোহার তৈরি বাসরঘর এ গ্রামে ছিলো। যা মাটির নিচে দেবে গেছে। বেহুলার শীল নোড়ার কথিত অংশবিশেষ এখনো এ গ্রামে রয়ে গেছে। লোকজন এখনো এগুলো দেখতে আসে।

” মেলা “
নাউলা হরিসভার মেলা,
আইনগিরী মেলা,
গোহট মেলা,
কড়ইয়া বটতলা মেলা,
মেঘদাই মেলা উল্লেখযোগ্য।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রঘুনাথপুর বাজারে স্থানীয় রাজাকারদের হামলায় ১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ১৪ জন নিরীহ লোক নিহত হয়।

Source: https://www.facebook.com/pg/Kachua.Upazila.Chandpur/about/?ref=page_internal

part 2

Summery:

Kachua Upazila Chandpur – 1984

Country:- Bangladesh.
Division:- Chittagong Division.
District:- Chandpur District.

Kachua is an Upazila of Chandpur District in the Division of Chittagong, Bangladesh.

(Geography):- Kachua is located in between 23.15 to 23.28 degrees of North latitudes and 90.48 to 91.01 degrees of East longitudes. ( 23.3500°N 90.8917°E ) . It has 50,262 households and a total area of 235.82 km².

(Demographics):- According to the 1991 Bangladesh census, Kachua had a population of 293,683. Males constituted 49.7% of the population, and females 50.3%. The population aged 18 or over was 135,448. Kachua had an average literacy rate of 34.1% (7+ years), against the national average of 32.4%.

(Administration):- Kachua has 12 Unions/Wards, 173 Mauzas/Mahallas, and 238 villages. Ashrafpur is the largest village in the upazila.

part 3

কচুয়া নামকরণের দুটি সম্ভাব্য ধারনা নিন্মরূপ ………..
ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর আমলে কচুয়া থানা দাউদকান্দি থানার অর্ন্তভূক্ত ছিল। মহারানী ভিক্টোরিয়া রাজত্বকালে কচুয়া থানা ছিল হাজীগঞ্জের অন্তভূর্ক্ত। ১৯১৮ সনের ২৫জানুয়ারী হাজীগঞ্জ হতে পৃথক হয়ে কচুয়া থানা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বর্তমানে কচুয়া বাজার এক সময়ে ওলিয়ে কামেল হযরত শাহ নেয়ামত শাহ এর বাজার নামে পরিচিত ছিল। কচুয়া বাজারের তারিনীর দিঘীর পাড়ে ছিল হযরত শাহ নেয়ামত শাহ (রাঃ) এর আস্তানা। তারিনীর দির্ঘীর পাড়ে ওলি আল্লার নিকট ছুটে আসত দূরে দূরান্তের মানুষ। এতে করে গড়ে ওঠে তারিনীর দির্ঘীর পাড় এলাকাকে ঘিরে বাজার। এই বাজারের নাম করন হয় ওলিয়া কামেলের নাম অনুসারে হযরত শাহ নেয়ামত শাহ এর বাজার। পরবর্তীতে এ নাম লোক মূখে পরিবর্তিত হয়ে কচুয়া থানার কচুয়া নামানুসারে কচুয়া বাজার নামে পরিচিতি লাভ করে।
কচুয়া থানার কচুয়া নাম করনের সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও জনশ্রুতি হিসাবে দুটি তথ্য পাওয়া যায়। প্রথমটি হচ্ছে সেনিটিক ভাষায় উপশহরকে কাচওয়া বলে। এ কাচওয়া শব্দ কালক্রমে লোকমূখে লোকান্তরিত হয়ে কচুয়া শব্দের উৎপত্তি হয়েছে।
অন্যটি হচ্ছে- ১৯০৫ সালে হাজীগঞ্জ থানাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ২টি থানায় রুপান্তরিত করার জন্য সীমানা নির্নয়ের জন্য জরীপ কাজ চালানো হয়। একজন পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ জরিপ কাজ পরিচালিত হয়। জরিপ কাজ শুরু হয় দাউদকান্দি থানায় দক্ষিণ সীমানা থেকে অর্থাৎ কচুয়া থানা উত্তর প্রান্ত থেকে। জরিপ কাজ চলার এক পর্যায়ে কাজে নিয়োজিত পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্যান্য লোকজন বর্তমানে কচুয়া বাজার সংলগ্ন উল্টর পার্শ্বের গ্রামের দক্ষিণাংশে এসে কয়েকটি তালগাছের সন্ধান পেয়ে তালগাছ এলাকার উঁচু স্থানে তাবু খাটিয়ে কয়েক দিন অবস্থান করেন। । এ গ্রামের জনৈক মৌলভী আলী আকমত পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেন আপনাদের জরীপ কাজ শেষ হয়েছে কি? উত্তরে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন কুচ হুয়া। উর্দুতে কুচ মানে কিছু এবং হুয়া মানে হয়েছে। অর্থাৎ কিছু অংশ হয়েছে। এ কুচ- হুয়া শব্দ হতে কচুয়া নামের উৎপত্তি হয়………

part 4

http://en.banglapedia.org/index.php?title=Kachua_Upazila_(Chandpur_District)

Kachua Upazila (Chandpur District)


Kachua Upazila (chandpur district) area 235.82 sq km, located in between 23°15′ and 23°24′ north latitudes and in between 90°48′ and 91°01′ east longitudes. It is bounded by chandina and daudkandi upazilas on the north, shahrasti and hajiganj upazilas on the south, barura and Chandina upazilas on the east, matlab dakshin and Hajiganj upazilas on the west.

Population Total 331360; male 163723, female 167637; Muslim 306593, Hindu 24729, Buddhist 13 and others 25.

Water bodies Main rivers: Kachua, Kalichhari; Boaljuri and Batakashi canals are notable.

Administration Kachua Thana was formed in 1918 and it was turned into an upazila on 20 July 1983.

Upazila
MunicipalityUnionMouzaVillagePopulationDensity (per sq km)Literacy rate (%)
UrbanRuralUrbanRural
11217323222197309163140547.344.6
Municipality
Area
(sq km)
WardMahallaPopulationDensity
(per sq km)
Literacy rate
(%)
11.2392022197197547.30
Union
Name of union and GO codeArea (acre)PopulationLiteracy rate (%)
MaleFemale
Ashrafpur 135777156621642155.92
Uttar Kachua 394102115711229142.2
Uttar Gohat 233612114171172149.57
Karaia 637233188511903949.38
Kadla 556670126361312648.74
Dakshin Kachua 4733497905823950.95
Dakshin Gohat 313581114371226951.16
Paschim Sahadebpur 944593116681244136.73
Pathair 79366298971055337.18
Purba Sahadebpur 874186107671073039.76
Bitara 157323185351844634.33
Sachar 714183119881155338.18

Source Bangladesh Population Census 2001, Bangladesh Bureau of Statistics.

Archaeological heritage and relics Bakhtiar Khan Jami Mosque (Ujani, 1107 AH), Jami Mosque at village Palgiri, Dighi and pata (stone slab) of Behula, temple of Sree Sree Jagannath Dev at Sachar (1870), Dighi at Saharpar (Rahimanagar), Manasa Mura, Math at Tulatali (sixteenth century).

History of the War of Liberation On 14 September 1971 the local razakars attacked the Raghunathpur Bazar and killed one freedom fighter and 14 innocent civilians.

Marks of the War of Liberation Memorial monument 1 (Raghunathpur).

Religious institutions Mosque 443, temple 49, tomb 10, sacred place 1.

Literacy rate and educational institutions Average literacy 44.8%; male 46.7%, female 43.1%. Educational institutions: college 1, secondary school 32, primary school 226, NGO school 49, madrasa 17. Noted educational institutions: Sachar High School (1916), Kachua Pilot Government High School (1937), Nischintapur DS Kamil Madrasa (1958), Chandpur Polytechnic Institute (2005).

Newspapers and periodicals Fortnightly: Kachua Kantha.

Cultural organisations Club 89, library 2, theatre group 2, women organisation 13, playground 32. Kachua Public Library and Dr. Muhammod Mansur Uddin Smriti Pathagar are notable.

Main sources of income Agriculture 52.47%, non-agricultural labourer 3.53%, industry 0.76%, commerce 12.74%, transport and communication 3.99%, service 9.95%, construction 2.07%, religious service 0.52%, rent and remittance 4.96% and others 9.01%.

Ownership of agricultural land Landowner 64.59%, landless 35.41%; agricultural landowner: urban 57.37% and rural 65.07%.

Main crops Paddy, wheat, potato, mustard, sesame.

Extinct or nearly extinct crops Jute, kaun, arahar.

Main fruits Mango, jackfruit, pineapple, banana, plum.

Fisheries, dairies and poultries This upazila has a number of fisheries, dairies and poultries.

Communication facilities Pucca road 150 km, semi-pucca road 70 km, mud road 750 km.

Extinct or nearly extinct traditional transport Palanquin, bullock cart, horse carriage.

Noted manufactories Flour mill, cold storage, ice factory, welding factory.

Cottage industries Goldsmith, blacksmith, bidi factory, cocoon industry, bamboo and wood work.

Hats, bazars and fairs Hats and bazars are 32, fairs 10, most noted of which are Kachua, Rahimanagar, Sachar, Jagatpur, Darbeshganj and Charabhanga bazars, Harisavar Mela at Naula, Aingiri Mela, Goht Mela, Karaia Battala Mela and Meghdai Mela.

Main exports Plum, banana, potato.

Access to electricity All the wards and unions of the upazila are under rural electrification net-work. However 29.50% (urban 28.04% and rural 51.11%) of the dwelling households have access to electricity.

Sources of drinking water Tube-well 90.68%, tap 0.62%, pond 3.59% and others 5.11%.

Sanitation 52.68% (urban 45.57% and rural 53.15%) of dwelling households of the upazila use sanitary latrines and 32.24% (urban 44.81% and rural 31.40%) of dwelling households use non-sanitary latrines; 15.08% (urban 9.62% and rural 15.45%) of households do not have latrine facilities.

Health centres Upazila health centre 1, family planning centre 12.

Natural disasters The cyclone of 1974 caused heavy damages to the properties of a number of villages of the upazila.

NGO activities Operationally important NGOs are asabrac, Uddipan, BARD, the Good Earth. [Habibunnabi Shariful Haque Shajee]

References Bangladesh Population Census 2001, Bangladesh Bureau of Statistics; Field report of Kachua Upazila 2007.

part 5

Kachua Upazila Post Code
Kachua Upazila Post Code Numbers :
Chandpur Head Office – 3600, Purana Bazar – 3601, Baburhat – 3602, Sahatali- 3603, Faridganj- 3650, Candra – 3651, Rupsha – 3652, Gridakalindia- 3653, Rampur bazar – 3654, Islampur Saha, IASMIN Senior Madrasa – 3655, Haimchor- 3660, Gandamara – 3661, Hajiganj- 3610, Balakhal – 3611, Kachua- 3630, Pak srirampur- 3631, Rahima Nagar – 3632, Sachar – 3633, Matlabganj, Matlab Thana- 3640, Mohanpur – 3641, Kalipura Bazar- 3642, Chagarchar – 3643, Shahrasti – 3620, Khil Bazar 3621, Weast Kherihar Al-Zamia Islamia Madrasa- 3622, Chitosi- 3623.

Kachua is an Upazila of Chandpur District in the Division of Chittagong, Bangladesh. It is located at 23.3500° and North 90.8917° East. Kachua Upazilla is bounded by Chitalmari on the north, Nazirpur and Pirojpur Sadar on the east, Bagerhat Sadar on the west and Morrelganj on the south. There is no significance source of naming of Kachua, yet two information is found. First, in Senitic language, “Kachwa (কাচওয়া)” means sub-town. Eventually, this word became “Kachua” over time. Second information is that, the word “Kachua” evolved from Urdu words “Kuch” and “Huwa”.

Area: 238 sq. km
Population (approximately): 335,000
Population Density: 1255 person per sq. km
Total Unions: 12
Total Mouzas: 168
Government Hospital: 1
Hat Bazar: 30
Clinics: 11
Post Offices: 27
Hat Bazaar: 40
Literacy rate: 42.5%
Major crops: Paddy, sugarcane, pulse, vegetables.
Rivers: Baleshwar, Bhairab, Bishkhali.